একদিনে কোভিড পজিটিভ ৩৯৬৭, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৮১ হাজার | বঙ্গ প্রতিদিন
Friday, May 15, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল:-গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় চার হাজার ছুঁতে চলল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার সকাল ৮টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে দেখা গেল দেশে সংক্রামিতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৮১ হাজার ৯৭০ জনে।
কেন্দ্রের হিসেবে আগেই বলা হয়েছিল মে মাসের পর থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একটা পর্যায় অবধি বাড়বে, তারপরে ফের ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। দেশজুড়ে র্যাপিড ও র্যান্ডম টেস্টের সংখ্যা বাড়ায় কোভিড পজিটিভ রোগীও বেশি করে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে বলেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। তাঁর কথায়, আক্রান্তের সংখ্যা বেশি দেখানোর এটাও একটা কারণ।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে সুস্থতার হারও। কেন্দ্রের পরিসংখ্যাণ বলছে, একদিনে সংক্রমণ সারিয়ে সেরে উঠেছেন ১৬৮৪ জন। দেশে এখন সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা ২৭ হাজার ৯১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। দেশে এখন মৃতের সংখ্যা ২৬৪৯।
করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে মহারাষ্ট্রে। গতকালই ২৫ হাজার ছাড়িয়েছিস আক্রান্তের সংখ্যা। এদিন সকালের বুলেটিনে দেখা গেল মহারাষ্ট্রে কোভিড পজিটিভ ২৭৫২৪। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১০১৯ জনের। মুম্বইয়ের অবস্থা তথৈবচ। শহরের সব হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিতে কোভিড রোগীদের ঠাসাঠাসি ভিড়। চিকিৎসা পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। শুধু মুম্বইতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
সংক্রমণের নিরিখে রেকর্ড করেছে রাজধানী দিল্লি। একদিনে নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৪৭২টি। দিল্লিতে সংক্রামিত ৮৪৭০। গত ৭ মে একদিনে ৪৪৮ জন ভাইরাস আক্রান্ত হযেছিলেন দিল্লিতে। সেটাই ছিল রেকর্ড। এবার সেই রেকর্ডও ভাঙল। দিল্লি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এপ্রিলের শেষেই সাড়ে তিন হাজার কোভিড রোগীর খোঁজ মেলে দিল্লিতে। গত ১৪ দিনে সেই সংখ্যাই লাফিয়ে বেড়ে সাড়ে চার হাজারে।
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগের কারণ হচ্ছে গুজরাট ও তামিলনাড়ুতেও। গুজরাটে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৫৯১, মৃত্যু হয়েছে ৫৮৬ জনের। দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে তামিলনাড়ুতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৬৭৪। তার মধ্যে ভয়াবহ অবস্থা চেন্নাইতে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, চেন্নাইয়ের কোয়ামবেড়ু বাজার থেকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে। হিসেব বলছে আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত চার হাজার জন বাইরের কোনও দেশ থেকে অথবা ভিন রাজ্য থেকে সংক্রমণ নিয়েই ঢুকেছিলেন। অন্তত ১৩৬৫ জন কোভিড রোগীর যোগ রয়েছে তাবলিঘি জামাত সদস্যদের সঙ্গে। বাকি রোগীদের সঙ্গে কোনও না কোনওভাবে যোগ রয়েছে চেন্নাইয়ের ওই বাজারের।
করোনা সংক্রমণ রুখতে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে দেশে। লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করতে কোন রাজ্য কী পদক্ষেপ নেবে তার ব্লু প্রিন্ট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্র এখনই লকডাউন শিথিল করতে রাজি না হলেও দিল্লিবাসী ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করারই পক্ষে। দিল্লির বড় সংখ্যক মানুষ চাইছেন, ১৭ মে-র পর থেকে লকডাউনের শর্ত আরও শিথিল করা হোক। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও গণপরিবহণের ক্ষেত্রে। হোটল, শপিং মল, স্কুল-কলেজ আপাতত বন্ধ রাখার অথবা একদিন অন্তর করে খোলার সুপারিশ করলেও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। পারস্পরিক দূরত্বের নীতি মেনে বাস, অটো, বা অ্যাপ নির্ভর ক্যাব চালানোরও দাবি উঠেছে।
0 Response to "একদিনে কোভিড পজিটিভ ৩৯৬৭, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৮১ হাজার | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment