দল বেঁধে যজ্ঞ বা উপচে পড়া জুম্মার নমাজ-কোথায় কলকাতার সতর্কতা? | বঙ্গ প্রতিদিন
Friday, March 20, 2020
Comment
এদিন কলকাতাতেই দেখা মিলল এমনই দুই খণ্ডচিত্রের। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় এদিন জুম্মার নমাজে হাজির হন বহু মানুষ। তাঁদের কারও মুখেই না ছিল মাস্ক, না ছিল না নূন্যতম ১ মিটার দূরত্বও। আবার অন্যদিকে, কলকাতাতেই ১১ জন পুরোহিত করোনা রুখতে যজ্ঞ করলেন। প্রশ্ন উঠেছে দুটি ঘটনাতেই।
অপরদিকে, করোনা প্রতিরোধে একাধিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতার আর্চ বিশপ ও ডায়েসেস অফ কলকাতা। তাঁদের তরফে আগামী গুড ফ্রাইডে ও ইস্টার উপলক্ষ্যে খ্রিস্টানদের যে বিপুল জমায়েত হয়, তাতেও একাধিক নির্দশিকা জারি হতে পারে। এখনই গোটা অনুষ্ঠান বাতিল বা সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানা গিয়েছে।
আবার বেলুড় মঠের কড়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে আগেই। জানা গিয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজকে ভক্তদের প্রণামের সুযোগ মিলবে না। বন্ধ থাকছে মঠের সমস্তরকম প্রসাদ বিতরণ। মন্দিরে পুজো ও আরতি দর্শনের সুযোগও বন্ধ থাকছে বলে মঠ সূত্রে জানানো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন মসজিদেও নেওয়া হতে চলেছে চূড়ান্ত সতর্কতা। বিশেষত লখনউতে গণ নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতার মসজিদগুলি কবে থেকে এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে?
জানা গিয়েছে, জুম্মার নমাজে যে বিপুল মানুষের জমায়েত হয় কলকাতার বিভিন্ন মসজিদে, তাতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হলেও নমাজিদের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হচ্ছে না।
কলকাতার সুপ্রাচীন নাখোদা মসজিদের তরফে মৌলানা শফিক আহমেদ বুধবার 'এই সময় ডিজিটাল'কে বলেন, 'করোনার যে সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, নমাজের আগে আমরা সম্পূর্ণরূপে সেই সমস্ত নির্দেশ পালন করি। নিজেদের পরিশুদ্ধ রাখি। তবে, করোনাভাইরাসের জন্য নমাজ বন্ধের কথা এখনও আমরা ভাবিনি। তার বদলে নমাজের গোটা প্রক্রিয়া যাতে কিছুটা তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় সেজন্য ইমাম সাহেবদের বলা হয়েছে।' কলকাতার বাকি মসজিদগুলিও এখনও নমাজের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেই চিত্রই ধরা পড়ল এদিন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর ঐতিহাসিক মসজিদুল হারামে কাবা শরিফ চত্বরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। বন্ধ করা হয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। ভারতের বিভিন্ন মন্দিরেও জমায়েতে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় স্তরেও বহু ধর্মীয় মেলা, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জুম্মার নমাজে যে বিপুল মানুষের জমায়েত হয় কলকাতার বিভিন্ন মসজিদে, তাতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হলেও নমাজিদের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হচ্ছে না।
কলকাতার সুপ্রাচীন নাখোদা মসজিদের তরফে মৌলানা শফিক আহমেদ বুধবার 'এই সময় ডিজিটাল'কে বলেন, 'করোনার যে সতর্কতা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, নমাজের আগে আমরা সম্পূর্ণরূপে সেই সমস্ত নির্দেশ পালন করি। নিজেদের পরিশুদ্ধ রাখি। তবে, করোনাভাইরাসের জন্য নমাজ বন্ধের কথা এখনও আমরা ভাবিনি। তার বদলে নমাজের গোটা প্রক্রিয়া যাতে কিছুটা তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় সেজন্য ইমাম সাহেবদের বলা হয়েছে।' কলকাতার বাকি মসজিদগুলিও এখনও নমাজের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেই চিত্রই ধরা পড়ল এদিন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর ঐতিহাসিক মসজিদুল হারামে কাবা শরিফ চত্বরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। বন্ধ করা হয়েছে ভ্যাটিকান সিটি। ভারতের বিভিন্ন মন্দিরেও জমায়েতে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় স্তরেও বহু ধর্মীয় মেলা, অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
0 Response to "দল বেঁধে যজ্ঞ বা উপচে পড়া জুম্মার নমাজ-কোথায় কলকাতার সতর্কতা? | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment