অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ মসৃণ রাখতে রাজ্যকে হেল্পলাইন খোলার নির্দেশ কেন্দ্রের | বঙ্গ প্রতিদিন
Wednesday, March 25, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:- মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে বক্তৃতায় দেশ জুড়ে ২১ দিন লক ডাউন ঘোষণা করার পর থেকেই গোটা দেশের একাংশ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এই ২১ দিনের জন্য খাবারদাবার ও ওষুধ সংগ্রহের জন্য মূলত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের কাছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য তথা চাল, ডাল, তেল, নুন পৌঁছবে কী ভাবে।
প্রধানমন্ত্রী গতকালই আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, দেশে সব কিছুই মজুত রয়েছে। আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু সে কথা বলার পাশাপাশি কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ যাতে অব্যাহত থাকে এবং এ ক্ষেত্রে কোনও বাধা এলে রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই সমস্যা সমাধানের জন্য যাতে সক্রিয় হয় সেজন্য প্রতিটি রাজ্য সরকারকে হেল্প লাইন চালু করতে বলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টর মন্ত্রক। কেন্দ্রের নির্দেশ শুধু রাজ্য স্তরে নয়, জেলা স্তরে হেল্পলাইন খুলতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্য ও জেলা স্তরে নোডাল অফিসার স্থির করে অবিলম্বে তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে।
কী ধরনের বাধার আশঙ্কা করছে সরকার?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ অযথা আতঙ্ক করে ভুল করে বসতে পারে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহের সময় রাস্তা ঘাটে পণ্যবাহী গাড়ি আটকাতে পারে। তা ছাড়া মৌলিক কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন অত্যবশ্যকীয় পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য প্রচুর লোকের প্রয়োজন। আবার তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যথাসম্ভব মুক্ত রাখাও জরুরি। এই সব লোকজন যাতে উৎপাদন কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন। রাস্তায় কোনও বাধা না পান ইত্যাদি সমস্তই স্থানীয় প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্তার কথায়, একটা কথা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তা হল আমাদের দেশে গত প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী। তার বড় কারণ হল, চাহিদা কম। তা যেমন শহরে কম, তেমনই গ্রামে। যোগানে কিন্তু তেমন সমস্যা ছিল না। দেশে খাদ্যের মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে। এতোটাই যে এখনই আমদানির কথা ভাবতেও হবে না। যা জরুরি তা হল সরবরাহ ব্যবস্থাকে যথাসম্ভব চালু রাখা। যাতে প্রান্তিক মানুষের কাছেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়া। গণবন্টন ব্যবস্থায় কেন্দ্র আগে থেকে ভর্তুকি দেয়। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষ মাথা পিছু মাসে ২ টাকা কিলো দরে চাল ও ১ টাকা কিলো দরে গম পান মাসে পাঁচ কেজি করে। সেই খাবারটা তাঁদের কাছে সুচারু ভাবে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাই স্থানীয় প্রশাসনকে করতে হবে।
0 Response to "অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ মসৃণ রাখতে রাজ্যকে হেল্পলাইন খোলার নির্দেশ কেন্দ্রের | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment