সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পেডোর পরীক্ষা সফল, শক্তি আরও বাড়ছে ভারতীয় নৌসেনার
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:-সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ ধ্বংস করে দিতে পারে নিমেষে। অ্যান্টি-সাবমেরিন মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
ওড়িশার হুইলার উপকূল থেকে এদিন নির্ভুল নিশানায় ছুটে যায় সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড রিলিজ টর্পেডো(SMART)। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সঠিক নিশানায় গিয়ে লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করেছে। লঞ্চ প্যাড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ ও লক্ষ্যবস্তুতে টার্গেট, সবকিছুই সঠিকভাবে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
অ্যান্টি-সাবমেরিন মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের প্রশংসা করে টুইট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, “ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী মিসাইলের পরীক্ষায় সফল ডিআরডিও। অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ারে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানাই।”
আরও পড়ুন:
‘স্মার্ট’ টর্পেডো ওজনে হাল্কা। অনেক দূর অবধি নিশানা করা যায় এই ক্ষেপণাস্ত্র। দিনে ও রাতে, আবহাওয়ার যে কোনও পরিস্থিতিতে এই ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ সম্ভব। এতে আছে শক্তিশালী রেডার, ইলেকট্রো অপটিক্যাল সিস্টেম। যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে সঠিক নিশানা করতে পারে এই টর্পেডো। নিক্ষেপের পরে একে থামানো খুব মুশকিল। সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে যদি সাবমেরিন হামলা করে শত্রুসেনারা, তাহলে এই ক্ষেপণাস্ত্রই হবে নৌসেনার অন্যতম বড় অস্ত্র। যে কোনও উন্নত প্রযুক্তির সাবমেরিনের দফারফা করে দিতে পারে এই টর্পেডো।
সমুদ্রে গভীরে লড়াই চালানোর জন্য অস্ত্রশস্ত্র তৈরির চেষ্টা গত এক দশক ধরেই চলছিল। এর আগে বিদেশ থেকে টর্পেডো কেনা হচ্ছিল। কিন্তু গত এক দশকের চেষ্টায় যে টর্পেডো ডিআরডিও তৈরি করেছে, তা পৃথিবীর সেরা টর্পেডোগুলির অন্যতম বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। গোপনে হানা দেয় যে সব ডুবোজাহাজ, সেই স্টেল্থ সাবমেরিনকেও নিমেষে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।
গত দু’সপ্তাহ ধরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে চলেছে ডিআরডিও। ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী ব্রাহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে কিছুদিন আগেই। মেড-ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা করতে পিজে-১০ কর্মসূচী নিয়েছিল ডিআরডিও। সেই পরীক্ষাতেই পাশ করে গেছে দূরপাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করা হবে এই ব্রাহ্মস মিসাইল।
চলতি সপ্তাহে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম)-এর পরীক্ষাতেও পাশ করে গেছে ডিআরডিও। অর্জুন ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া হয়েছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র। এরপরে রুশ-ভারত প্রযুক্তিতে তৈরি টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক থেকেও পরীক্ষামুলক উৎক্ষেপণ হবে এটিজেএমের।
0 Response to "সাবমেরিন বিধ্বংসী টর্পেডোর পরীক্ষা সফল, শক্তি আরও বাড়ছে ভারতীয় নৌসেনার"
Post a Comment