মেডিক্যাল কলেজের করোনা ওয়ার্ডে পিপিই পরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, তিন জনকে আটক করল বউবাজার থানা | বঙ্গ প্রতিদিন
Friday, July 31, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:-এর আগে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে। এবার ফের উঠল চুরির অভিযোগ। তবে এবার অবশ্য চুরি করতে পারেনি চোরেরা। নার্সদের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় চাতুরি। পরে অভিযুক্তদের আটকও করে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ের আটতলায় যে ফিমেল করোনা ওয়ার্ড, সেখানেই পিপিই পরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি। বসিরহাটের বাসিন্দা এক রোগিণীকে খাবার দিয়ে তারা বলে, “বাড়ি থেকে খাবার পাঠিয়েছে। এবার হার, আংটি, চুড়ি, দুল– এসব গয়নাগুলো খুলে দিন, আপনার বাড়ির লোক চেয়েছে।” রোগিণী ইতস্তত বোধ করেন, সোনার গয়না এভাবে খুলে দিতে।
এই কথোপকথন চলার সময়েই সন্দেহ হয় ওয়ার্ডে উপস্থিত নার্সের। তিনি জানতে চান ওই ব্যক্তিদের পরিচয়। তারা জানায়, রোগীর পরিবার তাদের পাঠিয়েছে। কিন্তু ওই নার্সের সন্দেহ হয়, ফিমেল ওয়ার্ডে তো কোনও পুরুষকে ঢুকতে দেওয়ার কথা নয়! এই প্রশ্ন করতেই আতান্তরে পড়ে চোরেরা। পালানোর চেষ্টা করে তারা। ওই নার্স পেছন পেছন তাড়াও করে যান, কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি, পালিয়ে যায় পিপিই পরা চোরেরা।
এর পরে সব জানাজানি হলে বউবাজার থানায় ডায়েরি করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে তিন জনকে আটক করে পুলিশ। জানা গেছে, তারা হাসপাতালেরই চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির স্টাফ। তাদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের বক্তব্য, এই ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, করোনা রোগীদের ভর্তির নামে টাকা চাওয়া হচ্ছে, ওষুধ কেনার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে এমনকি খাবারও চুরি হয়ে যাচ্ছে করোনা রোগীদের। এই নিয়ে সতর্কতা কয়েক দিন ধরেই ছিল। আজ ধরা পড়ে গেল চার জন। পুলিশ মনে করছে, করোনা নিয়ে আতঙ্কের সুযোগে এবং পিপিই পরে থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির চক্র এই কাজ করছে।
0 Response to "মেডিক্যাল কলেজের করোনা ওয়ার্ডে পিপিই পরে ছিনতাইয়ের চেষ্টা, তিন জনকে আটক করল বউবাজার থানা | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment