মোট আক্রান্ত ২ লাখ ছুঁতে চলেছে,দেশে একদিনে কোভিড পজিটিভ ৮১৭১, লাগাতার তিনদিন ধরে রেকর্ড সংক্রমণ | বঙ্গ প্রতিদিন
করোনা অ্যাকটিভ কেসও প্রায় লাখ ছুঁতে চলেছে। শরীরে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন ৯৭ হাজার ৫৮১ জন। গতকালের থেকে সংখ্যাটা কমলেও গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২০৪ জনের। এখনও অবধি দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫ হাজার ৫৯৮ জনের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে দেশে। আর এই রেকর্ড বৃদ্ধিতেই বিশ্বের প্রথম ১০ করোনা আক্রান্ত দেশের তালিকায় ঢুকে পড়েছে ভারত। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করেছে কো-মর্বিডিটির কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাই এখনও অবধি শুধুমাত্র করোনা সংক্রমণের জন্য মৃত্যুহার বিশ্বের মধ্যে ভারতেই অনেক কম। সে তুলনায় সুস্থতার হার অনেক বেশি যা প্রায় ৪২.৭৫ শতাংশ। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, দেশে এখন সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যা ৯৫ হাজার ৫২৭ জন। একদিনে ৩৭০৮ জন করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। সে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ৭০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩৬২ জনের। মুম্বইয়ের হাল তথৈবচ। হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে রোগীর ভিড়। স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রায় বিপর্যস্ত। তবে করোনা আতঙ্কের মধ্যে কিছুটা আশার কথাও শুনিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। মহারাষ্ট্রে করোনা সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ১০৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজধানীতেও। কেন্দ্রের হিসেব বলছে, দিল্লিতে এখনও অবধি সংক্রামিতের সংখ্যা ২০ হাজার ৮৩৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫২৩ জনের। তামিলনাড়ু ও গুজরাটের অবস্থাও তথৈবচ। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। গুজরাটে ১৭ হাজার ২০০।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ তথা আইসিএমআর জানিয়েছে, ভারতে করোনা আক্রান্তের হার ০.০০৩৩২ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় মাত্র ৩৩.২ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিড সংক্রমণে। এই সংখ্যাটা অন্যান্য বিশ্বের দেশের থেকে অনেকটাই কম। তাছাড়া যেভাবে কোভিড টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে দেশে তাতে আক্রান্ত রোগীদের আরও বেশি চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুনের মাঝামাঝি রেকর্ড সংখ্যক বৃদ্ধি দেখা যাবে। তবে তার পরেই ধীরে ধীরে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকবে।
দেশের অন্তত ৭৫টি জেলায় কোভিড টেস্টের বৃহত্তর কর্মসূচী নিয়েছে আইসিএমআর। জুন মাস অবধি দিনে গড়ে ২ লাখের বেশি কোভিড টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আইসিএমআর জানিয়েছে যত বেশি কোভিড টেস্টিং হবে, আক্রান্তদের ততটাই তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করা যাবে। বিশেষত লক্ষণহীন বাহক বা উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের শনাক্ত করতে র্যাপিড ও র্যান্ডম টেস্ট ছাড়া অন্য গতি নেই। আর ভারতে এই উপসর্গহীন কোভিড রোগীদের সংখ্যাই চিন্তার কারণ। হিসেব বলছে, ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কোভিড টেস্টিংয়ে যতজন পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলেছিল তাঁদের ৪০,১৮৪ জনের মধ্যে অন্তত ২৮ শতাংশই ছিল উপসর্গহীন। অর্থাৎ যাঁদের শরীরে করোনা পজিটিভ অথচ বাইরে সে রোগের কোনও লক্ষণ নেই। সর্দি, জ্বর, শুকনো কাশি বা শ্বাসকষ্ট, কোভিড সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে যেগুলিকে ধরা হয় তার কোনওটাই ছিল না ওই রোগীদের মধ্যে। বাদবাকি রোগীদের অনেকেরই আবার ‘মাইল্ড সিম্পটম’ বা মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছিল।
0 Response to "মোট আক্রান্ত ২ লাখ ছুঁতে চলেছে,দেশে একদিনে কোভিড পজিটিভ ৮১৭১, লাগাতার তিনদিন ধরে রেকর্ড সংক্রমণ | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment