-->
করোনা ধাক্কায় আন্তর্জাতিক চুক্তি থমকে, দেশের সংস্থার থেকেই ৮৩টি তেজস কিনছে বায়ুসেনা  | বঙ্গ প্রতিদিন

করোনা ধাক্কায় আন্তর্জাতিক চুক্তি থমকে, দেশের সংস্থার থেকেই ৮৩টি তেজস কিনছে বায়ুসেনা | বঙ্গ প্রতিদিন






বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:মার্কিন অ্যারোস্পেস কোম্পানি লকহিড মার্টিন এবং সইডেনের সাব এবি-র থেকে ১১৪টি তেজস ফাইটার জেট কেনার চুক্তি হয়েছিল সেই ২০১৮ সালেই। ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য যে কোনও মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট বানাতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির সংস্থা লকহিড মার্টিন। কিন্তু করোনার ধাক্কায় সে সব থমকে গেছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঢিলে দিতে রাজি নয় ভারত। দেশের সংস্থার থেকেই তাই ৮৩টি তেজস যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে বায়ুসেনা।
বায়ুসেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত বলেছেন, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ এয়ারক্রাফ্টের জন্য হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল)-এর সঙ্গে  প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়ছিল। সেই দাম ১৮ হাজার কোটি কমিয়ে ৩৮ হাজার কোটিতে এসে ঠেকেছে। তেজসের নয়া ভার্সন বানাচ্ছে হ্যাল। ক্ষিপ্রতায় ও আক্রমণের শক্তিতে তেজসের এই সুপারসনিক এয়ারক্রাফ্ট রাফালের চেয়েও এককাঠি উপরে।
২০১৬ সালে তেজস মার্ক১ যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। এখন তাদের মধ্যে ১৬টি আছে বায়ুসেনার সংগ্রহে। হ্যালের তৈরি তেজসের নয়া ভার্সন সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো। তেজসের এই উন্নত সংস্করণ তেজস এমকে-১এ (ওজনে ১৩.৫ টন) ও তেজস এমকে-২ ( ওজনে ১৭.৫ টন) ফাইটার জেটের চেয়ে ওজনে ভারী। তেজসের এই ভ্যারিয়ান্টের ওজন হতে চলেছে প্রায় ২৩ টনের কাছাকাছি। তার উপর ৯ টন অবধি ক্ষেপণাস্ত্র বইতে সক্ষম।
সামরিক পরিভাষায় রাফালকেও বলে ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট’ বলা হয়। অনেক উঁচু থেকে হামলা চালানো, যুদ্ধজাহাস ধ্বংস করা, মিসাইল নিক্ষেপ এমনকী পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতাও রয়েছে রাফালের। তেজসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, শত্রুপক্ষের নজরদারির বাইরে থেকেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে পারে তেজস। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্ষিপ্র গতির তেজসকে একে টার্গেট করা যেমন অসম্ভব, তেমনি আকাশে একে ধাওয়া করে যাওয়ায় বেশ কঠিন। তেজসের ককপিটে থাকা পাইলট সহজেই শত্রুপক্ষের মিসাইলের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারেন লহমায়।
ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের থেকে রাফাল কিনছে ভারত। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত। মোট ৩৬টি রাফাল কেনার বিষয়ে চুক্তি হয়েছিল। ফ্রান্সের রাফাল নির্মাতা সংস্থা ‘দাসো অ্যাভিয়েশন’ জানিয়েছিল, মোট ৫৯ হাজার কোটি টাকা দামের ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রথম চারটি ভারতে পৌঁছবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের মে মাসে। প্রথম রাফাল এসেছিল গত বছরই। মে মাসের মধ্যে আরও পাঁচটি রাফাল ফাইটার জেটের বায়ুসেনার হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা সতর্কতা জারি হওয়ার পরে এখন রাফালের প্রোডাকশন বন্ধ রেখেছে ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন। কাজেই রাফাল হাতে আসার কোনও সম্ভাবনাই এই মুহূর্তে নেই। এদিকে বুড়ো মিগকে সরিয়ে নতুন ফাইটার জেটের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। এই বছরের মধ্যে মিগের পুরনো ভ্যারিয়ান্টের বেশিরভাগই বাতিলের খাতায় চলে যাবে। কাজেই ভরসা এখন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস ফাইটার জেট।

0 Response to "করোনা ধাক্কায় আন্তর্জাতিক চুক্তি থমকে, দেশের সংস্থার থেকেই ৮৩টি তেজস কিনছে বায়ুসেনা | বঙ্গ প্রতিদিন"

Post a Comment

Article Top Ads

Central Ads Article 1

Middle Ads Article 2

Article Bottom Ads