পালঘরে সাধুহত্যায় "গ্রেফতার হওয়া ১০১ জনের মধ্যে কেউই মুসলিম নয়", বললেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী | বঙ্গ প্রতিদিন
Wednesday, April 22, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরে এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে যা দেখে আতঙ্কে শিউরে ওঠে দেশে মানুষ। দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালককে রীতিমতো পিটিয়ে মেরে ফেলে (Palghar Mob Lynching) উত্তেজিত জনতা। অনেকেই এই ঘটনাকে ধর্মীয় বিদ্বেষের রূপে দেখছিলেন। কথা উঠেছিল, সাধুদের পিটিয়ে মারার ঘটনার পিছনে থাকতে পারে মুসলমানদের হাত। কিন্তু বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ (Anil Deshmukh) স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় তিন ব্যক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে ১০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কেউই মুসলিম সম্প্রদায়ের নয়। তিনি বলেন, এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া উচিত নয়। যাঁরা মারা গিয়েছেন ও যাঁরা আক্রমণ করেছে, তাঁরা সকলেই একই ধর্মালম্বী বলেও তিনি জানান। গোটা ঘটনাটির তদন্তে নেমেছে মহারাষ্ট্র সিআইডির অপরাধ দমন তদন্ত বিভাগ।
"এখনও পর্যন্ত ১০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আমি আপনাদের জানাই যে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের কেউই মুসলিম নয়। সুতরাং এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রঙ দেবেন না" করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ফেসবুকের মাধ্যমে এই বিবৃতি দেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ।
"কিছু মানুষ 'মুঙ্গেরিলাল কে হাসিন সপনে' দেখছেন। এখন রাজনীতি করার সময় নয়, বরং সম্মিলিতভাবে করোনা ভাইরাস বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়", একথাও বলেন তিনি।
চলতি মাসের ১৬ তারিখে রাত্রি বেলায় সিলভাসা যাওয়ার পথে স্থানীয়দের হাতে মার খেয়ে মৃত্যু হয় দুই সাধু ও তাঁদের গাড়ির চালকের। এই ঘটনার পরেই বিবৃতি দেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তিনি জানান, গ্রামবাসীরা এলাকায় চোর ঢুকে পড়ার মতো গুজব শুনে উত্তেজিত ছিল। তারপরেই ভুল করে ওই ৩ ব্যক্তিকে অপরাধী মনে করে তাঁদের উপরে চড়াও হয় তাঁরা। উদ্ধব ঠাকরে সকলের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেন, ‘‘বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক করে তুলবেন না। এর মধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক সূত্র নেই।''
জানা গেছে, উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গেলে পুলিশকেও আক্রমণ করে তাঁরা। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে গ্রামবাসীরা একটি পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে।
পুলিশ বলেছে যে উপন্যাসের করোনভাইরাসটি প্রচারের চেইনটি ভাঙতে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে চোরেরা গুজব ছড়িয়েছিল। জেলা কালেক্টর কৈলাশ সিন্ধের মতে, পাড়া থেকে শিশুদের অপহরণের গুজবও ছিল।
গণপিটুনির ঘটনায় মারা যান ৭০ বছরের মহন্ত চিকনে মহারাজ ও ৩৫ বছরের সাধু সুশীলগিরি মহারাজ এবং তাঁদের গাড়ির চালক ৩০ বছরের নীলেশ তেলগাদে।
0 Response to "পালঘরে সাধুহত্যায় "গ্রেফতার হওয়া ১০১ জনের মধ্যে কেউই মুসলিম নয়", বললেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment