ঈসালে সওয়াবের দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক ভিড় ফুরফুরায় | বঙ্গ প্রতিদিন
Saturday, March 7, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক :- ইসালে সওয়াবের প্রথম দিনের মতই দ্বিতীয় দিনেও উপচে পরা ভীড় ফুরফুরায়। ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম তীর্থভূমি ও সম্প্রীতির অন্যতম পীঠস্থান ফুরফুরা দরবার শরীফ। স্বাধীনতা সংগ্রামী যুগ সংস্কারক দাদা হুজুর পীর কেবলা(রহঃ) এঁর প্রতিষ্ঠিত নির্ধারিত ২১,২২ ও ২৩ শে ফাল্গুন ফুরফুরা শরীফের ঐতিহাসিক ইসালে সওয়াবে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফুরফুরা দরবার শরীফে উপস্থিত হন বিশেষ দোওয়ার আশায়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও আসাম ও বাংলাদেশ থেকেও অসংখ্য মানুষ আসেন এই ইসালে সওয়াবে।
প্রায় ১২৯বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই ইসালে সওয়াব যতই দিন গিয়েছে আসতে আসতে বিশাল আকার ধারন করেছে। তিনদিন ধরেই ওয়াজ-জিকিরের মাহফিল ও দ্বীনের শিক্ষা ও মাজার জিয়ারত চলতে থাকে। ফুরফুরার পীরসাহেব ও পীরজাদারা আগত ভক্তবৃন্দদেরকে দ্বীনের তালিম দিয়ে থাকেন। পীরজাদা তামিম সিদ্দিকী ইসালে সওয়াবের স্মৃতি চারনা করতে গিয়ে ১২৯বছর আগের কথা তুলে ধরে বলেন, “দাদা হুজুর ১২৯ বছর আগে মাত্র ২৫০গ্রাম বাতাসার তবারক দিয়ে যে ইসালে সওয়াব শুরু করেছিলেন আজ তা এই বিশাল আকারে ধারন করেছে। তাঁর বসানো সেই কুঁড়ি আজ এই বিশাল মহীরুহ হয়ে উঠেছে। যত দিন যাবে তা আরো বাড়তেই থাকবে। তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল এই তিনদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসবে। আখেরাতের পাথেয় সঞ্চয় করবে। বিভিন্ন মসলা-মাসায়েল ও শরীয়তের বিষয়ে জ্ঞান নিয়ে যাবে। যাতে দ্বীনের পথে চলতে সুবিধা হয়।”
পীরজাদা সাহিম সিদ্দিকী বলেন, “বাংলা তথা দেশ জুড়েই রয়েছে এক অশান্তির আবহ। এরই মাঝে এই লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তাই দিতে চাই। তিনি আরো বলেন দাদা হুজরের আদর্শ ছিল রসূলে(সঃ)-র আদর্শ। তাই তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইসালে সওয়াবে আগত সকল ভক্তদেরও অনুরোধ করবো রসূলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও দশের সেবা করার, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার।” ইসালে সওয়াব উপলক্ষে রাস্তার দুদিকে ছিল রকমারি বিভিন্ন খাবারের দোকান। ছিল বইয়ের দোকান ও। আগত মেহমানদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত।
0 Response to "ঈসালে সওয়াবের দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক ভিড় ফুরফুরায় | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment