নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটার প্রশ্ন নেই, এনপিআরও হবে, মুকুল-দিলীপদের মোদী | বঙ্গ প্রতিদিন
Saturday, January 11, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক :- নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে কলকাতার রাস্তায় তাঁকে যতই কালো পতাকা দেখানো হোক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্য বিজেপি নেতাদের পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিলেন, এ ব্যাপারে পিছু হটার কোনও প্রশ্নই নেই। যাঁরা এই আইনের বিরোধিতা করছেন, তাঁরা হাতেগোনা। গরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন রয়েছে এতে। সুতরাং কোনওরকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব না রেখে যেন সাধারণ মানুষকে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিষয়টি সহজ করে বোঝানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যান দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়রা।
শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী দমদম বিমানবন্দরে নামার আগেই গতকাল রাতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার অর্থ আইনের বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেল। তার এদিন কলকাতায় নেমেই রাজ্য বিজেপির প্রবীণ নেতা মুকুল রায়কে মোদী প্রশ্ন করেন, বাংলার পরিস্থিতি কেমন? আপনারা কী বুঝছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলছেন?
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে তখনই মুকুলবাবু বলেন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জেলায় জেলায় যে প্রচারে নেমেছেন তাঁরা তাতে বিপুল সমর্থন পাচ্ছেন। বিশেষ করে শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায় মানুষ দু’হাত তুলে সমর্থন জানাচ্ছেন। মতুয়াসমাজ-সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষও খুশি। কারণ, ভোট প্রতিশ্রুতি পালন করে দেখিয়েছে বিজেপি সরকার।
পরে রাজভবনে ফের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা প্রমুখ নেতারা। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী সেই সংক্ষিপ্ত বৈঠকেও বলেন, আত্মবিশ্বাস অটুট রেখেই যেন প্রচার চালিয়ে যায় বিজেপি। তিনি এও বলেন, এনআরসি নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি যেন তৈরি না হয়। আপাতত এনআরসি হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ, এনপিআর তথা জনসংখ্যা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া বাংলাতেও হবে। তা না হলে বাংলার মানুষই যে কেন্দ্রের অনুদান থেকে বঞ্চিত হতে পারেন সেকথাও বোঝাতে হবে।
পরে বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়তো ধারণা ছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি তৃণমূলের প্রতি নরম হবেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের গতি কমে যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর তেমন কোনও আশঙ্কা আমাদের নেই। বরং প্রধানমন্ত্রী ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন, আইন তার নিজের পথেই চলবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত নিয়ে কোনও আপস হবে না।
বস্তুত সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পরতে পরতেও এদিন রাজনৈতিক কৌশলের ছোঁয়া ছিল। পরিষ্কার বোঝা যায় যে বাংলা ও বাঙালির আবেগকে ছুঁতে চাইছেন তিনি। হাওড়া ব্রিজের লাইট সাউন্ড ব্যবস্থার উদ্বোধন, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন নিয়ে সংগ্রহশালা তৈরি, রাজা রামমোহন রায়ের আড়াইশোতম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের ঘোষণার মধ্যে সেই চেষ্টাই বারবার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া বেলুড় মঠে রাত্রিযাপনও কম তাৎপর্যপূর্ণ নয়।


0 Response to "নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পিছু হটার প্রশ্ন নেই, এনপিআরও হবে, মুকুল-দিলীপদের মোদী | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment