-->
বাম ঘেরাওয়ের মুখে পড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীদের খবর দিতে বললেন মমতা  |  বঙ্গ প্রতিদিন

বাম ঘেরাওয়ের মুখে পড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীদের খবর দিতে বললেন মমতা | বঙ্গ প্রতিদিন


বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক :- রাত আটটা থেকে ধর্মতলায় টিএমসিপির ধর্নামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও করে রেখেছে বামপন্থী ছাত্ররা। নরমে গরমে অনেক বোঝানোর পরেও ঘেরাও না ওঠায় রাত ন’টায় মাইক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, “সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আমাদের কর্মীদের খবর দিন। এখানে চলে আসতে বলুন।”
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কালো পতাকা দেখাতে শনিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জমায়েত করেছিল একাধিক সংগঠন। দিনভর কোথাও কোনও উত্তেজনা না হলেও প্রধানমন্ত্রী যখন মিলেনিয়াম পার্কে পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে তখন ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে। ব্যারিকেড ভেঙে দেয় পড়ুয়ারা। পুলিশের সঙ্গে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি-সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।
মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ধর্মতলায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নামঞ্চে ফিরে যেতেই বাম ছাত্রদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। রানি রাসমনি রোডে কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় শনিবার রাতে।
‘মমতা গো ব্যাক’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রানি রাসমনি রোড চত্বর। মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি এক পড়ুয়া প্রশ্ন করেন, “দিদি প্রধানমন্ত্রীকে ঢুকতে দিলেন কেন বাংলায়?” মাইক হাতে মমতা বলেন, “উনি নিজে এসেছেন। তোমাদের আন্দোলন করার হলে দিল্লিতে গিয়ে করো।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই নেত্রী উষসী পাল বলেন, “শনিবার সারাদিন কলকাতা উত্তাল ছিল নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে। কিন্তু আমরা দেখেছি, রবীন্দ্রসদনের সামনে পুলিশ সাধারণ ছাত্র মিছিল আটকেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করতে। সেটিং-এর রাজনীতি স্পষ্ট। আজ যখন সন্ধেবেলা তাঁকে ছাত্রছাত্রীরা জিজ্ঞেস করল, কেন মোদীকে ঢুকতে দিলেন? জবাব দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। হতাশায় হুমকি দিয়েছেন। ”
ছাত্রদের বোঝানোর চেষ্টা করেন মমতা। বলেন, “তোমাদের যা দাবি, আমাদেরও তাই দাবি। তোমরা শান্ত হও।” বাম ছাত্ররা মোদী-মমতা সেটিং এর অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকে। মমতা মঞ্চ থেকে বলে, “তোমরা যত খুশি স্লোগান দাও। আমাদের পুলিশ কিছু করবে না। এটা দিল্লির পুলিশ নয়।”
কিন্তু বেশ খানিকক্ষণ এইরকম বাক্যবিনিময় চলার পর মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রীও। বলেন, “আমার উপরে হামলা হলে আমাদেরও ছাত্র সংগঠন আছে।” এরপর নিজেই মাইক হাতে নিয়ে বন্দে মাতরম স্লোগান দিতে থাকেন দিদি। বাম ছাত্রদের মুখে তখন ‘দিদি-মোদী সে আজাদি’ স্লোগান।
জানা গিয়েছে মূলত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অতি বাম সংগঠনের ছেলেমেয়েরাই এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। রাত ন’টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী বিক্ষোভ সামাল দিতে কার্যত অপারগ হয়ে বলেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূলকর্মীদের খবর দিতে। অনেকের মতে তৃণমূলকর্মীরা যদি জড়ো হতে শুরু করে তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। এখন ধর্মতলায়র পরিস্থিতি কী হয় সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

0 Response to "বাম ঘেরাওয়ের মুখে পড়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীদের খবর দিতে বললেন মমতা | বঙ্গ প্রতিদিন"

Post a Comment

Article Top Ads

Central Ads Article 1

Middle Ads Article 2

Article Bottom Ads