সুস্থের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি,১ লক্ষ ছুঁতে চলল দৈনিক সংক্রমণের হার
Thursday, September 10, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:-টানা এক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক সংক্রমণ লাগামছাড়া। নতুন সংক্রমণ ধরা পড়ছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজারের কাছাকাছি। মাঝে দু’একদিন দৈনিক সংক্রমণের হার কমলেও আজ এক ধাক্কায় ফের সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। সংক্রমণে মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিনে দেখা গেছে, দেশে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৯৫ হাজার ৭৩৫। সেই সঙ্গেই দেশে মোট করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৩ জনে। করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯ লাখ। দেশে এখন অ্যাকটিভ কেস প্রায় ২১ শতাংশ।
ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেশি। কেন্দ্রের হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জনের। এখনও অবধি দেশে ৭৫ হাজার করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
আজকের বুলেটিনে দেখা গেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা সুস্থ হয়ে ওঠাদের সংখ্যার থেকেও বেশি। একদিনে সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার করোনা রোগী, সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজারের কাছাকাছি। সুস্থতার হারও খুব বেশি বাড়েনি। আজকের হিসেবে ৭৭.৭৪ শতাংশ।
করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুহার কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন বলছে, এখনও অবধি কোভিড ডেথ রেট ১.৬৮%। তবে কয়েকটি রাজ্যে করোনায় মৃত্যুহার চিন্তার কারণ। যেমন পাঞ্জাবে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি প্রায় ২.৯৫ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধিতে শীর্ষেই মহারাষ্ট্র। প্রায় ২০ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে এই রাজ্যেই, অন্ধ্রপ্রদেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। নতুন আক্রান্তদের ৬০ শতাংশই দেশের পাঁচ রাজ্যের যথা মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশ।
কোভিড পজিটিভিটি রেট ফের বেড়েছে। গত শুক্রবার পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণএর হার কমে গিয়েছিল ৭.৭০ শতাংশে। সোমবার দেখা গেল সংক্রমণের হার বেড়ে ৮.০৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে। সংক্রমণের হার বাড়ায় দৈনিক বৃদ্ধিও গত কয়েকদিনে মাত্রা ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশের এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর তথা ‘আর নম্বর’ কমে গেছে। গত শুক্রবার আর নম্বর ছিল ১.০৯ পয়েন্টে, সোমবার সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ১.০৮ পয়েন্টে। কেন্দ্রের লক্ষ্য হল এই আর নম্বর একের নীচে নামিয়ে ফেলা। তাহলেই করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমে যাবে। কজন আক্রান্তের থেকে বেশিজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমবে। পুদুচেরীতে আর নম্বর সবচেয়ে কম ০.৯২, বিহারে ০.৯৭। তেলঙ্গানা ও তামিলনাড়ুতেও আর নম্বর একের নীচে নেমে গেছে যথাক্রমে ০.৯৭ ও ০.৯৯।
ইতিবাচক দিক হল দেশে কোভিড টেস্টের সংখ্যা আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ লাখের বেশি করোনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর হিসেবে ১১ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৫৬। এ যাবৎ পাঁচ কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশজুড়েই। দেশে কোভিড টেস্টের ল্যাবরেটরির সংখ্যা আরও বেড়েছে। মোট ১৬৮৬টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে যার মধ্যে সরকারি ল্যাবরেটরি ১০৪২টি ও বেসরকারি ল্যাব রয়েছে ৬৪৪টি।
0 Response to "সুস্থের চেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি,১ লক্ষ ছুঁতে চলল দৈনিক সংক্রমণের হার"
Post a Comment