-->
পুলিশ দেহ ছিনিয়ে জোর করে দাহ করেছে, অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের মৃত গণধর্ষিতার পরিবারের

পুলিশ দেহ ছিনিয়ে জোর করে দাহ করেছে, অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের মৃত গণধর্ষিতার পরিবারের



বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:-উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের তরুণীর মৃত্যুর পর পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তাঁর পরিবার। মৃতার ভাই অভিযোগ করেছেন, দিদির দেহ সৎকারের আগেই মধ্যরাতে তা ছিনিয়ে নেয় পুলিশ। এবং পরিত্যক্ত একটি জায়গায় তা দাহ করা হয়।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মৃতার পরিবার বলেছে, তাঁদের থেকে কোনও অনুমতি না নিয়েই পুলিশ এই কাজ করেছে।

এ নিয়ে বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের টুইট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দূরে একটি কাঠের স্তূপের মধ্যে আগুন জ্বলছে। চারিদিক ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ভিডিওতে এও শোনা যাচ্ছে, একজন মহিলা সাংবাদিক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্তাকে জিজ্ঞেস করছেন, ওখানে কী জ্বলছে? পুলিশ কর্তা জবাব দিচ্ছেন জানি না। ফের তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ওখানে কি মৃত দেহ সৎকার হচ্ছে? তার জবাবে তিনি বলেন, ডিএমকে জিজ্ঞাসা করুন।

১৫ দিন আগে গণধর্ষণ করা হয়েছিল ওই তরুণীকে। সোমবার গভীর রাতে দিল্লির হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিজের গ্রামেই একটি পরিত্যক্ত জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় ওই তরুণীর উপর। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ধর্ষকরা। ক্ষতবিক্ষত তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ঘটনার তিন দিনের মাথায় মোট চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত জেলে রয়েছে তারা।

জানা গিয়েছে নির্যাতিতা তরুণী তফশিলী জাতিভুক্ত। আর যারা তাঁর উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে তারা তথাকথিত উঁচু জাতের। চলতি মাসে একাধিক যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। তিন বছরের শিশুকন্যাকে পর্যন্ত যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। এদিন এই তরুণীর মৃত্যুর পর উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গেল।

তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, রাতে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কোনও গা করেনি। আরও আগে যদি মেয়েকে উদ্ধার করা যেত তাহলে হয়তো প্রাণে মরতে হতো না।

0 Response to "পুলিশ দেহ ছিনিয়ে জোর করে দাহ করেছে, অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের মৃত গণধর্ষিতার পরিবারের"

Post a Comment

Article Top Ads

Central Ads Article 1

Middle Ads Article 2

Article Bottom Ads