-->
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিহারে, ১০ জেলায় কবলিত ১০ লক্ষ মানুষ, মৃত অন্তত ১৮ | বঙ্গ প্রতিদিন

ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিহারে, ১০ জেলায় কবলিত ১০ লক্ষ মানুষ, মৃত অন্তত ১৮ | বঙ্গ প্রতিদিন



বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:- অতি বর্ষণে বিহারের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পড়শি রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, ১০ জেলায় বন্যা কবলিত প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।
অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নদীর জল বেড়ে যাওয়ার ফলে এই পরস্থিতি বলে বিহার সরকার জানিয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত বিহারের উত্তরাংশে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনি ও রবিবারও মাঝারি ও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে কিছুটা স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সঙ্গেই উদ্ধার কাজে নেমেছে এনডিআরএফ। শুক্রবার একাধিক জাআয়গায় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার থেকে শুকনো খাবার, বেবি ফুড ফেলা হয়। একাধিক জেলায় মানুষকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার বন্দোবস্ত হয়েছে বলে বিহার সরকারের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নেপাল সীমান্তে পশ্চিম চম্পারণ জেলার অবস্থা শুক্রবার সকাল থেকে খারাপ হতে শুরু করে। অতি বৃষ্টিতে গণ্ডক নদীর জল বেড়েই প্লাবিত হয়েছে এই জেলার অধিকাংশ জায়গা। নেপাল সরকার না জানিয়ে জল ছেড়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। শুধুমাত্র পশ্চিম চম্পারণেই মারা গিয়েছেন সাত জন। বুলেটিনে বলা হয়েছে, এই জেলায় বন্যা কবলিত এক লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ। শুক্রবার পাঁচ হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রেখেছে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ।তা ছাড়াও শুক্রবার দারভাঙায় এক জন ও সীতামারিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, দারভাঙাতে বন্যা কবলিত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। এই জেলায় তিন লক্ষ ৪৬ হাজার মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়েছেন বলে জানিয়েছে বিহার সরকার। শুক্রবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে সারা রাজ্যে বন্য কবলিত মানুষের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪৬ হাজার।

গোপালগঞ্জ, পূর্ব চম্পারণ, কিষাণগঞ্জের মতো জেলাগুলিওরও বিস্তীর্ণ অংশ বন্যা কবলিত। বেশ কিছু জায়গায় কমিউনিটি কেচেন খোলা হয়েছে সরকার ও বিভন্নন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে। বন্যা কবলিত মানুষকে সরিয়ে নিয়ে রাখা হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। কিন্তু করোনা আবহে যা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। কারণ সেই সমস্ত ত্রাণ শিবিরগুলিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি যথাযথ ভাবে মানা সম্ভব নয় বলেই মত অনেকের।  বিহার সরকারের তরফে বলা হয়েছে, বায়ুসেনা তাদের জানিয়েছে, শনিবারও তারা অনেক জায়গায় হেলিকপ্টার থেকে শুকনো খাবার ও বেবি ফুড ফেলবে। তবে ইতিবাচক দিক এই যে, বেশ কিছু নদীর জল আগের থেকে বেশ কিছুটা কমেছে। যা ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

0 Response to "ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি বিহারে, ১০ জেলায় কবলিত ১০ লক্ষ মানুষ, মৃত অন্তত ১৮ | বঙ্গ প্রতিদিন"

Post a Comment

Article Top Ads

Central Ads Article 1

Middle Ads Article 2

Article Bottom Ads