টিকিয়াপাড়ায় রাতভর তল্লাশি পুলিশের, আটক ১৪, থমথমে বিস্তীর্ণ এলাকা | বঙ্গ প্রতিদিন
Wednesday, April 29, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করতে মঙ্গলবার রাতভর তল্লাশি চালাল পুলিশ। বুধবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
যে এলাকায় গতকাল উন্মত্ত জনতা তাণ্ডব চালিয়েছিল সেই এলাকা তো বটেই এদিন সকাল থেকে আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। রয়েছে র্যাফও।
এদিন সকাল থেকে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। যে বাজারগুলি তিন দিন পর আজ খোলার কথা ছিল সেগুলিও খোলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। বন্ধ মুদিখানার দোকানও। বেলিলিয়াস রোড থেকে দশরথ ঘোষ লেন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত মুদিখানা দোকানের বাইরে ফোন নম্বর ঝুলিয়ে দিয়েছেন মালিকরা।
পুলিশ এবং র্যাফ টহল দিচ্ছে বেলিলিয়াস রোড এলাকায়। এদিন সকালে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা যান ওই এলাকায়। যে জায়গায় মঙ্গলবার বিকেলে তাণ্ডব চলেছিল সেই এলাকা পুরোপুরি সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না।
টিকিয়াপাড়ার ঘটনা নিয়ে গতকাল রাতেই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না। সেই টুইট রিটুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুঝিয়ে দেওয়া হয় নবান্ন এ ব্যাপারে কড়া হাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে। গতকালের ঘটনায় জখম হয়েছেন চার পুলিশকর্মী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতেও।
আরও পড়ুন হাওড়ার পুর-কমিশনার অপসারিত, টিকিয়াপাড়ার ঘটনার রাতেই সিদ্ধান্ত নবান্নের
গতকাল রাতেই হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। তাঁকে পাঠানো হয়েছে প্রাণী সম্পদ দফতরের যুগ্মসচিব করে। তাঁর জায়গায় পুর কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈনকে। তবে টিকিয়াপাড়ার ঘটনার সঙ্গে এই প্রশাসনিক রদবদলের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউনের শুরু থেকে প্রশাসন ঢিলেঢালা দেওয়ার কারণেই আজকে পরিস্থিতি এই জায়গায় পৌঁছেছে।
0 Response to "টিকিয়াপাড়ায় রাতভর তল্লাশি পুলিশের, আটক ১৪, থমথমে বিস্তীর্ণ এলাকা | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment