ছয়বার করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ, অবশেষে স্বস্তি পেলেন গায়িকা কণিকা | বঙ্গ প্রতিদিন
Sunday, April 5, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:- পর পর পাঁচবার রিপোর্ট পজেটিভ আসায় বেশ চিন্তিতই ছিলেন গায়িকা কণিকা কাপুর। চিন্তায় ছিলেন তাঁর পরিবার থেকে চিকিৎসকরাও। অবশেষ স্বস্তির খবর মিলল শনিবার। ষষ্ঠ পরীক্ষার রিপোর্টে জানা গেল আর করোনা সংক্রমণ নেই গায়িকার শরীরে। তবে এখনই মুক্তি মিলবে না হাসপাতাল থেকে। সপ্তম পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পিজিআইএমএস হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়া হবে।
গায়িকার শরীরে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০ মার্চ। তখন থেকেই শুরু হয় চিকিৎসা। এর পরে একের পর এক পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট আসতে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন বিতর্কেও জড়ান গায়িকা।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলার সময়েই লালারসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এই গায়িকা। সংশয় জানিয়েছিলেন আদৌ করোনা হয়েছে কিনা তাই নিয়ে। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডে শুয়ে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিরাট একটি লেখা লিখেছিলেন কণিকা। তাতে তাঁর অভিযোগের শেষ ছিল না। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁকে ঠিক মতো জল পর্যন্ত খেতে দেওয়া হচ্ছে না। খিদে পেলে দু’টো কলা হাতে ধরিয়ে দায় সারছে হাসপাতাল।
এনিয়ে কণিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন হাসপাতালের ডিরেক্টর আর কে ধীমান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, কণিকা কাপুরের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। চারঘণ্টা অন্তর বদল করা হচ্ছে নার্সিংস্টাফ। দিনে অন্তত ছ’বার পরিষ্কার করা হচ্ছে কেবিন। তিনি বলেছেন, “এত কিছুর পরেও তাঁর এত ট্যানট্রমস কীসের বুঝতে পারছি না! উনি বোধহয় সারা পৃথিবী এবং দেশের পরিস্থিতিটাই বুঝতে পারছেন না।”
কণিকা কাপুরের কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ার পর তোলপাড় পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলেও। কারণ, লখনউয়ের হোটেলে তিনি যে পার্টি দিয়েছিলেন তাতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার ছেলে দুষ্মন্ত সিন্ধিয়া। এরপর দুষ্মন্ত সংসদেও যান। বসুন্ধরা, দুষ্মন্ত-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কোয়ারেনটাইনে চলে যান।
কণিকার বিরুদ্ধে রোগ লোকানোর অভিযোগও ওঠে। লন্ডন থেকে ফিরে তিনি কাউকে কিছু জানাননি বলে অভিযোগ ওঠে। রোগ লোকানোর অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলাও দায়ের হয়েছে কণিকার বিরুদ্ধে।
0 Response to "ছয়বার করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ, অবশেষে স্বস্তি পেলেন গায়িকা কণিকা | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment