মুর্শিদাবাদে শুক্রবারের নমাজ পড়তে মসজিদে ভিড়, পুলিশি হানায় ছত্রভঙ্গ জনতা | বঙ্গ প্রতিদিন
Saturday, April 11, 2020
Comment
বঙ্গ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:-করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে লকডাউন চলছে, সরকারের তরফ থেকে বারবার দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার বার্তা, বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, মাস্ক ব্যবহার করতে, কিন্তু এসবে আদৌ কতটা সচেতন রাজ্যের সাধারণ মানুষ? শুক্রবার জুম্মাবারে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এক মসজিদে যে চিত্র দেখা গেল তাতে এই প্রশ্নই উঠে আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে করোনা আতঙ্ককে উপেক্ষা করেই মুর্শিদাবাদের কান্দিতে গোপীনগর মসজিদে প্রার্থনা (Friday Prayers) করার জন্যে অসংখ্য মানুষের জমায়েত হয়েছে। আর তাঁদের সতর্ক করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। এই ঘটনার সত্যতা শিকার করে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে যে, ওই জমায়েতের খবর তাঁদের কানে যেতেই পুলিশ বাহিনী গিয়ে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে বাড়ি পাঠায়।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মুর্শিদাবাদের ওই মসজিদ এলাকায় সচেতনতামূলক বার্তা দিচ্ছে পুলিশ, "আপনারা কেউ মাস্ক পরেননি", লোকজনকে সজাগ হওয়ার অনুরোধও করছেন সিভিক পুলিশরা।
এই ঘটনার পর সেখানে ছুটে যান রাজ্য পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার কে এস রাজ। ওই মসজিদের ইমামকে ডেকে আগামী দিনে এই ধরণের কোনও জমায়েত করলে কঠোর শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। চাপে পড়ে গ্রামবাসীদের সামনে ইমাম ঘোষণা করেন, করোনা পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে লকডাউন চলাকালীন বাড়িতে বসেই নমাজ পড়তে হবে, আপাতত বন্ধ থাকবে মসজিদের দরজা।
পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা ওই মসজিদে নমাজ পড়বেন বলে জড়ো হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ ব্যক্তিরা ছিলেন, তেমনই ছিল শিশুরাও। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন মূলত প্রবীণ ও শিশুরা, যাঁদের তুলনামূলকভাবে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম।
যদিও প্রশাসনের তরফে মুর্শিদাবাদের মসজিদের এই ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। "পুলিশ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা যাতে মানা হয় সেই সম্পর্কে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করছে। বেশিরভাগ মানুষই এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা", বলেছেন এক পুলিশ আধিকারিক।
এদিকে এই ভিডিওটিকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি লেখেন: "আপনার জন্যেই মুখ্যমন্ত্রী এই অবস্থা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের! যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফুল ও পানের বাজার, মিষ্টির দোকান খোলার কথা বলেন সেখানে আর কী বলার থাকতে পারে। কেন্দ্র ১০০০টি করোনা টেস্ট কিট পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেগুলো অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ ভাবছেন # COVID19 এর প্রভাব বোধহয় কমে গেছে"।
0 Response to "মুর্শিদাবাদে শুক্রবারের নমাজ পড়তে মসজিদে ভিড়, পুলিশি হানায় ছত্রভঙ্গ জনতা | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment