
বাংলায় তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প, মন্ত্রী বললেন এনআরসির সঙ্গে সম্পর্ক নেই | বঙ্গ প্রতিদিন
Thursday, November 14, 2019
Comment
ডিটেনশন ক্যাম্প!
এই শব্দটা শুনলেই এখন আঁতকে উঠছেন মানুষ। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ তথা এনআরসি নিয়ে তৈরি হচ্ছে উৎকণ্ঠা। কিন্তু জানা গেল বাংলায় খোদ কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প। যদিও রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস অভয় দিয়ে বললেন, “এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই।”
তাহলে কেন এই ডিটেনশন ক্যাম্প?
উজ্জ্বলবাবু জানান, “বিভিন্ন দেশের ২৫০জনকে বাংলার সরকার বিভিন্ন কারণে গ্রেফতার করেছিল। তাদের মধ্যে ১৪০জনকে নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া গেছে। কিন্তু এখনও এ রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দি আছে ১১০জন। তাদের জন্য অন্য বন্দিদেরও সমস্যা হচ্ছে। আলাদা করেন বিদেশি বন্দিদের রাখার জন্যই এই ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে।”
জানা গিয়েছে শুধু রাজারহাট নয়, বনগাঁর কাছেও জায়গা দেখা চলছে। সেখানেও পৃথক একটি ক্যাম্প তৈরি হবে।
বাংলার শাসকদলও এনআরসির কট্টর বিরোধী। মুখ্যমন্ত্রী থেকে সামনের সারির সমস্ত নেতামন্ত্রী জনসভায় বলছেন, বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। স্পষ্ট করে বলছেন, তৃণমূল যতদিন আছে ততদিন বাংলায় ‘নো এনআরসি।’ দুদিন আগে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছিল অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পের ‘অমানবিকতার’ কথা!
কারামন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এর সঙ্গে এনআরসির দূরদূরান্তে কোনও যোগ নেই। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে বিদেশিরা বন্দি রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই নাইজিরিয়ার নাগরিক। গত দেড় বছরে কোকেন-সহ একাধিক নিষিদ্ধ জিনিস পাচার করার ঘটনা সামনে এসেছিল। সেই ঘটনাগুলিতে নাইজিরিয়ার নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি কলকাতা ময়দানের ফুটবল খেলোয়াড়ও ছিল এই তালিকায়। জানা গিয়েছে এখনও যে ১১০জন বন্দি আছে, এদের মধ্যে শিশু-সহ মা-ও আছে।
0 Response to "বাংলায় তৈরি হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্প, মন্ত্রী বললেন এনআরসির সঙ্গে সম্পর্ক নেই | বঙ্গ প্রতিদিন"
Post a Comment