Breaking: বুদ্ধবাবুর মুখে বাইপ্যাপ মেশিন, স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
Friday, September 6, 2019
Comment
বিকেল থেকে শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল বুদ্ধবাবুর। সন্ধেবেলা সেটাই প্রবল হয়। সন্ধে ৭টা নাগাদ আলিমুদ্ধিনে খবর যায়। খবর পেয়েই তাঁর বাড়িতে ছোটেন চিকিৎসকরা। পারিবারিক ডাক্তার কৌশিক চক্রবর্তী উডল্যান্ডসে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। হাসপাতালের ৫১৬ নম্বর আইসিইউ বেডে রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। ডঃ কৌশিক চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে ৮ সদস্যের মেডিকাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, মেডিকাল বোর্ড আরও বাড়ানো হবে।
২০০৯ সাল থেকে বুদ্ধবাবুর সিওপিডি-র সমস্যা। যে কারণে তাঁকে প্লেনে চড়তে বারণ করেছিলেন চিকিৎসকরা। ২০১১ সালের পর শ্বাসকষ্ট এমন জায়গায় যায়, যে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিঁড়ি দিয়েও উঠতে পারতেন না উনি। ব্যবহার করতে হত লিফট। এমনও দিন গিয়েছে, বুদ্ধবাবুর কনভয় আলিমুদ্দিনে পৌঁছনোর পর দেখা যায় লিফট খারাপ, তখন পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে ফিরে চলে আসতে হয় তাঁকে।
গত আড়াই বছর ধরে গৃহবন্দী বুদ্ধবাবু। মাঝে শ্বাসকষ্টকে ছাপিয়ে গিয়েছিল চোখের সমস্যা। তখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছিলেন বুদ্ধবাবুর বাড়িতে। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু, রাজি হননি বুদ্ধবাবু। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেডে খানিকটা জেদ করেই এসেছিলেন। তবে গাড়ি থেকে নামেননি। ১৫ মিনিট থেকেই ফিরে যান।
কয়েকদিন আগেই অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়িতে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের সঙ্গে তাঁর যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল, তা দেখে প্রায় সকলেই বুঝতে পেরেছিলেন, শরীর একেবারেই ভালো নেই তাঁর। ইদানীং প্রায় সারাদিনই পোর্টেবল অক্সিজেন সিলিন্ডার রাখতে হত তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ ডাক্তারের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে।
0 Response to "Breaking: বুদ্ধবাবুর মুখে বাইপ্যাপ মেশিন, স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী"
Post a Comment